পুনরুত্থান একেই বলে। ২০১৮ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ইতালি। রাশিয়া বিশ্বকাপ শেষ হবার পর সেই বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে একটা ম্যাচে ও আর হারেনি রবার্তো মানচিনির ইতালি। টানা ৩৪ ম্যাচ অপরাজিত থেকে ইংল্যান্ডকে ফাইনালে টাইব্রেকারে হারিয়ে ইউরো কাপ জয়ের মধ্য দিয়ে নতুন ইতালির জন্ম দিয়ে গেলেন আজুরী রা। ওয়েম্বলিতে ৬৫ বছর পর ইংল্যান্ডের কাছে সোনার সুযোগ ছিল দ্বিতীয় কোন আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতার। আর ইতালির কাছে ছিল দ্বিতীয়বার ইউরো জয়ের হাতছানি। ম্যাচের শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনাপূর্ণ খেলা দেখল ওয়েম্বলির ৬৭ হাজার দর্শক। ৩ মিনিটে হ্যারি কেনের লম্বা পাস রিসিভ করে বক্সের মধ্যে ক্রস তোলেন ট্রিপার। সেই ক্রস থেকে প্রথমবার দিয়ে দুর্দান্ত গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন লুক শ।
গোলটা খাওয়া ছাড়া ইতালির ফুটবল ছিল শিল্পের মতো। কখনো ৮ পাসে, কখনো বা ২১ টা পাস খেলে ইংল্যান্ড ডিফেন্স কে তটস্থ করে আক্রমণে উঠেছে ইতালি। প্রথমার্ধে গোল না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধের ৬৭ মিনিটে কর্নার থেকে চকিতে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরালেন না ইতালিয়ান সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার বনুচ্চি। এরপর সারা ম্যাচে ইংল্যান্ড ও ইতালি দুটো দলই চেষ্টা করলেও গোল হল না।
টাইব্রেকারে ইতালিয়ান গোলকিপার দনারুমার বিশ্বস্ত হাত স্বপ্নের ওয়েম্বলিতে ইতালিকে এনে দিল ইউরো কাপের খেতাব। ১৯৬৮ সালে শেষবার ইউরো জিতেছিল ইতালি। এর আগে বেশ কয়েকবার ফাইনালে উঠলেও খেতাব জয় হয়নি ইতালির। এবার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো।