দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা না দিয়ে কি করে ছাত্রীরা ফেল করতে পারে, এমন অভিযোগ তুলে শিক্ষিকাদের ঘেরাও করে তালাবন্দী করে বিক্ষোভ দেখাল রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের একাংশ। তাঁদের বিক্ষোভে শামিল হন অভিভাবকেরাও। একইভাবে বোলপুরের শৈলবালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা বিক্ষোভে শামিল হন।
বৃহস্পতিবার উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর রেজাল্ট দেখে হতাশায় ভেঙে পড়েন স্কুলের প্রায় শ’খানেক ছাত্রী। তাদের আশানুরুপ ফল না হওয়ায় এদিন স্কুলে এসে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মল্লিকা হালদার ও উপস্থিত কয়েকজনকে ঘিরে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। অন্যদিকে, আরেকটি ঘরে শিক্ষিকাদের তালাবন্দী করে দেয় ছাত্রীরা। তাদের দাবি, এই নাম্বার নিয়ে তারা কোথাও ভর্তি হতে পারবে না। অন্যদিকে, আট জন উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া অকৃতকার্য হওয়ায় তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে। অনুত্তীর্ণ শিরিন পারভীন ও উমা ভকত বলে, যেখানে পরীক্ষা হল না, সেখানে দুটো বিষয়ে ফেল করি কি করে? আমাদের একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার খাতা দেখায়নি স্কুল। মনগড়া নাম্বার পাঠিয়েছে কাউন্সিলে। তারজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ দায়ী। যদিও ছাত্রীদের দাবি অস্বীকার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর আগেও স্কুল থেকে কাউন্সিলে একাদশের নাম্বার পাঠানো নিয়ে ছাত্রী ও অভিভাবকদের বিক্ষোভ হয় স্কুলে। তখন অবশ্য সঠিক নাম্বার পাঠানো হয়েছে বলে স্কুলের পক্ষে দাবি করা হয়। এদিন বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশ ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। ছাত্রীরা পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে কাউন্সিলে চিঠি লিখে স্কুলে জমা দেয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই চিঠি অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে কাউন্সিলে জমা দিতে যাবে বলে সূত্রের খবর। স্থানীয় বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নাম্বার নিয়ে যাদের ক্ষোভ আছে তারা কাউন্সিলের কাছে আবেদন করুক।
অন্যদিকে, প্রায় ৪২ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবার অকৃতকার্য ও বিভিন্ন বিষয়ে ফেল করেছে। তাই বোলপুর শৈলবালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রীরা ও তাদের অভিভাবকেরা৷ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘিরে চলতে থাকে বিক্ষোভ। তাদের অভিযোগ, অন্যান্য স্কুলে পাস করিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশির ভাগ পড়ুয়াদের। একমাত্র এই স্কুলে এতজন ছাত্রী অনুত্তীর্ণ।
যদিও, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রুবি ঘোষের দাবি, শিক্ষা পর্যদের নিয়ম অনুযায়ী একাদশ শ্রেণীর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এবার নম্বর দেওয়া হয়েছে৷ আমার কিছু করার নেই।