পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অমিত শর্মা বুধবার দিল্লি দাঙ্গায় ‘অভিযুক্ত’ আসিফ ইকবাল তানহার দায়ের করা একটি পিটিশনের শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। যেটির তদন্ত সম্পর্কে ‘সংবেদনশীল এবং গোপনীয় উপাদানগুলি’ দিল্লি পুলিশ মিডিয়ার কাছে ফাঁস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিচারপতি অমিত শর্মা হলেন দ্বিতীয় বিচারপতি যিনি বিষয়টির শুনানি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলেন। প্রথম বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভম্ভানি, যিনি ন্যাশনাল ব্রডকাস্টার এবং ডিজিটাল অ্যাসোসিয়েশন (এনবিডিএ) একটি হস্তক্ষেপ আবেদন দায়ের করার পরে মামলার শুনানি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।
বিচারপতি ভম্বানি বেশ কয়েকদিন ধরে এই বিষয়ে শুনানি করার পরে আবেদনটি দায়ের করা হয়েছিল।এদিন শুনানির সময় বিচারপতি শর্মা আসিফ ইকবাল তানহার পিটিশনটি অন্য বেঞ্চের সামনে রাখার নির্দেশ দেন।তিনি বলেন,প্রধান বিচারপতির আদেশ পাওয়ার সাপেক্ষে ২৪ এপ্রিল অন্য বেঞ্চের সামনে এই বিষয়টি তালিকাভুক্ত করুন।”
উল্লেখ্য, সম্পাতি দিল্লি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি অমিত শর্মা। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের পক্ষ থেকে সম্প্রতি বেশ কিছু নাম উল্লেখ করা হয়েছিল বিচারপতি পদের জন্য। যার মধ্যে ছিলেন অমিত শর্মাও। ৯ জানুয়ারি ২০২৩-এ দিল্লি হাইকোর্টের কলেজিয়ামের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত বিচারপতি অমিত শর্মার নাম স্থায়ী বিচারপতি পদের জন্য প্রস্তাব করা হয়।
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের ‘অরাজনৈতিক’ সংগঠন ‘কনস্টিটিউশনাল কন্ডাক্ট গ্রুপ’ দিল্লি দাঙ্গার তদন্তে যে নাগরিক কমিটি গঠন করেছিল, তার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, “দিল্লি দাঙ্গা আচমকা ঘটেনি, ঘটানো হয়েছিল। দিনের পর দিন বিজেপি ও অন্য উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতাদের ঘৃণা ভাষণ, কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমের উগ্র প্রচার এবং পুলিশ ও সরকারের ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ওই রক্তক্ষয়ী দাঙ্গার কারণ।