বিশেষ প্রতিবেদন: যায়নবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রতি সউদি আরবের মাত্র ২ শতাংশ মানুষের সমর্থন রয়েছে বলে এক মতামত সমীক্ষায় দেখা গেছে। মার্কিন সরকার যখন তেল আবিবের সঙ্গে রিয়াদের সম্পর্ক স্থাপন করে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে তখনই এই সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হল। ইকোনমিস্ট পত্রিকা এক নিবন্ধে ‘২০২৩ আরব ইয়ুথ সার্ভে’ নামক একটি সমীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করে বলেছে, ইসরাইলের সঙ্গে সউদির সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে ‘অভ্যন্তরীণ প্রতিবন্ধকতা’ একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে। ইকোনমিস্ট লিখেছে, ‘২০২৩ আরব ইয়ুথ সার্ভেতে সউদি আরবের মাত্র ২ শতাংশ তরুণ-তরুণী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন।’ ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, এই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পেছনে রিয়াদের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ‘আমেরিকার সঙ্গে কৌশলগত মৈত্রীকে নতুন রূপ দান করা।’ ইসরাইলের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির একটি অংশে থাকবে সউদি আরবের একটি পরমাণু শক্তি কর্মসূচি। বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর সউদি আরব কিংবা মুসলিম বিশ্বের লাভ বা ক্ষতি যাই হোক, এটি হবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জন্য নিজের ক্ষমতাকে কিছুটা হলেও বৈধতা দেওয়ার একটি দারুন সুযোগ। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, নেতানিয়াহু ইসরাইলি আদালতে ব্যাপক দুর্নীতের দায়ে বিচারের সম্মুখীন এবং একটি বিতর্কিত আইন নিয়ে ব্যাপক জনরোষেরও মুখে পড়েছেন। অন্যদিকে ২০২৪ সালের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে তেল আবিব-রিয়াদ সম্পর্ক স্থাপন করে দিতে পারলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।