পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সাংসদ-বিধায়কদের হলফনামা খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম এবং ন্যাশানাল ইলেকশন ওয়াচ সংস্থা। তারা জানিয়েছে, বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কদের ৪৮০৯ টি হলফনামার মধ্যে দেখা গেছে, ৭৬২ জন সাংসদ ও ৪০০১ জন বিধায়ক নারী ঘটিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
রিপোর্ট অনুযায়ী,মহিলা ঘটিত অপরাধে তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বিজেপির সাংসদ-বিধায়করা (৪৪), দ্বিতীয় স্থানে কংগ্রেস (২৫), তৃতীয়ে রয়েছে আম আদমি পার্টি (১৩)। এই সমস্ত বিধায়ক-সাংসদদের বিরুদ্ধে মহিলাদের অপহরণ, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, যৌন হেনস্তা, অশালীন আচরণ এমনকী বধু নির্যাতনেরও অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে ১৮ জন সাংসদ-বিধায়ক ধর্ষণের মতো মামলায় জড়িত । তাদের মধ্যে ৭ জন বিজেপির। তবে এমন গর্হিত অপরাধের পরও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওই প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীরা।
সমীক্ষায় আরও জানা গেছে, বিভিন্ন রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধে অভিযুক্ত সাংসদ-বিধায়কের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গেই সবচেয়ে বেশি (২৬)। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র ও ওড়িশা। তাদের বিধায়ক-সাংসদের সংখ্যা ১৪।
চাকরি-বিয়ে সহ নানাবিধ জিনিসের প্রলোভন দেখিয়ে নেতা-মন্ত্রী এবং প্রভাবশালীদের লালসার ফাঁদে পা দিচ্ছেন বহু মহিলা। বছরের পর বছর ধরে নির্যাতিত হয়ে পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ দীর্ঘ আইনি লড়াই’য়ে জয় পেয়েছেন, কেউ বা বিচারব্যবস্থার যাঁতাকলে পড়ে বেঘোরেই মারা পড়েছেন। সমীক্ষা বলছে, প্রায় ১৩৪ জন সাংসদ-বিধায়কের বিরুদ্ধে মহিলা ঘটিত অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে ২১ সাংসদ ও ১১৩ জন বিধায়ক রয়েছে বলেই খবর। তবে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে কেন্দ্রাসীন দল বিজেপির ক্ষেত্রে বেশ অস্বস্তিকর এই সমীক্ষার তথ্য। এখনও যদি তারা শিক্ষা না নিয়ে, অভিযুক্তদের জনপ্রতিনিধি করে তাহলে আগামিদিনে গেরুয়া শিবিরের আরও দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে বলেই মনে করছেন বুদ্ধিজীবী মহল।