বেইরুট, ১৫ ফেব্রুয়ারি: গাজার শাসকদল হামাসের পাশাপাশি লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধেও যুদ্ধ শুরু করেছে যায়নবাদী সেনা। বুধবার দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকে ধ্বংস করতে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি সেনা। এতে লেবাননের ১১ অসামরিক নাগরিক মারা যান যার মধ্যে ৬জনই শিশু। ইসরাইল বলেছে, হিজবুল্লাহর রকেট হামলার প্রতিক্রিয়ায় তারা এই হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলের হামলার পর ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহর অন্যতম শীর্ষ নেতা হাশেম সাফিদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধারা এর কড়া জবাব দেবে। হাশেম বলেছেন, ‘দক্ষিণ লেবাননে আগ্রাসনে বেশ কয়েজন শহিদ হয়েছে। এর উত্তর না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে না। তাদেরকে অবশ্যই উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।’ এর আগে হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ এক ভাষণে বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজায় গণহত্যা পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইল-বিরোধী হামলা চালিয়ে যাবে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। নাসরুল্লাহ আরও বলেন, ‘ইসরাইল যদি হামলা জোরদার করে তাহলে আমরাও একই কাজ করব।’ ইসরাইলের দাবি, সাফেদ শহরে হিজবুল্লাহর চালানো রকেট হামলার পালটা ব্যবস্থা হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়েছে। হিজবুল্লাহর ওই হামলায় এক ইসরাইলি সেনা নিহত হয়। আহত হয় আরও অন্তত ৮ জন।