পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: গত ৩১ জানুয়ারি পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ককে নিষিদ্ধ করে আরবিআই। ফাসস্ট্যাগ, ওয়ালেট এবং পেটিএম -এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে সবথেকে বড় প্রশ্ন হল, কেন পেটিএম পেমেন্ট ব্যাঙ্কের আর্থিক লেনদেনের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আরবিআই? কী এমন অপরাধ করেছিল এই ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যাঙ্ক?
কেওয়াইসি-র তথ্যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। শতাধিক অ্যাকাউন্টের কোনও সঠিক পরিচিতিই নেই। গ্রাহকের নাম, তথ্য-সবই অজানা। বিনা কেওয়াইসির এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কোটি কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ নিয়মের লঙ্ঘন, ভুয়ো রিপোর্ট দাখিল, লাইসেন্সিং শর্তের চূড়ান্ত লঙ্ঘন – এমনই সব কারণে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপর শাস্তির খাঁড়া নেমেছে বলেই সূত্রের খবর।
নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যে কাজ চলছিল, তা নিয়ে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিল আরবিআই । অবশেষে গত বুধবার ঘোষণা করা হয় যে ২৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট, ওয়ালেট এবং ফাসস্ট্যাগ দিয়ে অনলাইনে কোনও টাকা দেওয়া যাবে না।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, একটি প্যান নম্বর থেকেই অন্তত হাজার অ্যাকাউন্ট পেটিএমের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে। এর ফলে আর্থিক দুর্নীতির সম্ভাবনা আরও প্রবল হতে পারে। তাই তড়িঘড়ি পেটিএমের লেনদেনে রাশ টানছে সরকার।
আরবিআইয়ের সন্দেহ, বিপুল পরিমাণ আর্থিক তছরুপ হয়েছে পেটিএম পেমেন্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। তাই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে জানানোর পাশাপাশি, আরবিআই তার ফলাফলগুলি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। রাজস্ব সচিব সঞ্জয় মালহোত্রা সংবাদমাধ্যমে জানান, বেআইনি কার্যকলাপের কোনও প্রমাণ পাওয়া গেলে ইডি পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের তদন্ত করবে।
প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরই হু হু করে পড়তে শুরু করে পেটিএমের শেয়ার। শুক্রবার একধাক্কায় ২০ শতাংশ পতন হয় পেটিএমের শেয়ারে। এরপর পরপর দুই দিনে ৪০ শতাংশ পতন হয়।