পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক : অসম মানবাধিকার কমিশন (এএইচআরসি) হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকারকে দু’মাসে ১২ জন অভিযুক্তকে ‘তথাকথিত এনকাউন্টারে’ গুলি করে হত্যা করার কারণ সম্পর্কে তদন্ত করার জন্য নোটিশ দিয়েছে৷ এক এএইচআরসি আধিকারিক জানিয়েছেন যে কমিশনের সদস্য নবকমল বোরা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনা ও পরিস্থিতি সম্পর্কে তদন্ত করতে এবং আগস্টের মধ্যে এর রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র ও রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান সচিবকে নোটিশ জারি করেছেন। এর আগে দিল্লি-ভিত্তিক অসমের এক আইনজীবী (আরিফ জোয়াদ্দার) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি)-এর কাছে অভিযোগ করেছিলেন, মে মাসে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন সরকার শপথ নেওয়ার পর থেকে অসমের পুলিশ বাহিনী ভুয়ো সংঘর্ষ বা ফেক এনকাউন্টারের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করছে৷ এ বিষয়ে একটি তদন্তের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি৷ অভিযোগকারী আরিফ জোয়াদ্দার অভিযোগ করেন, অসম পুলিশ এনকাউন্টারে উন্মত্ত হয়ে উঠেছে৷ গত দু’মাসে এ জাতীয় ২০টিরও বেশি ‘এনকাউন্টার’ সংঘটিত হয়েছে৷ ছোটখাটো অপরাধীদেরও গুলি করা হচ্ছে৷ মূলত হিমন্তের ‘ছাড়পত্রেই’ পুলিশের এই বেপরোয়া এনকাউন্টার বলে তিনি মনে করছেন৷
এএইচআরসি-র নোটিশে বলা হয়েছে যে কার্বি অ্যাংলং জেলায় পুলিশের সঙ্গে দুটি পৃথক লড়াইয়ে ছয় সন্দেহভাজন ডিমাসা ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (ডিএনএলএ) জঙ্গি এবং ইউনাইটেড পিপলস রেভোলিউশনারি ফ্রন্টের (ইউপিআরএফ) দুই অভিযুক্ত বিদ্রোহী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংবাদমাধ্যমের খবরের বরাত দিয়ে এএইচআরসি জানিয়েছে, আরও চার সন্দেহভাজন অপরাধীকে ভিন্ন এনকাউন্টারে পুলিশ হত্যা করেছে৷ অপর একটি ঘটনায় পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে মরিগাঁয় পুলিশের গুলিতে অভিযুক্ত সায়েদ আলি আহত হয়েছিল।
সম্প্রতি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, যিনি স্বরাষ্ট্র বিভাগের দায়িত্বেও রয়েছেন, তিনি একটি পুলিশ সম্মেলনে বলেছিলেন যে পুলিশকে আইন অনুসারে অপরাধীদের পায়ে গুলি করতে পারে৷ এনকাউন্টারকে নৈতিক বৈধতা দিয়ে শর্মা বলেন, যদি অপরাধীরা পুলিশি হেফাজত থেকে পালাতে বা পুলিশের কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে গুলি চালানোর চেষ্টা করে, তবে তাদের উপর গুলি চালানো ‘রীতি হওয়া উচিত’।