নয়াদিল্লি ১১জুলাই : শুধুমাত্র দলিত হওয়ার অপরাধে এক যুবককে রাস্তায় ফেলে নৃশংসভাবে মারধর করা হয়। এমনকী গোপনাঙ্গেও আঘাত করা হয়েছিল।জাতীয় তফসিলি জাতি উপজাতি কমিশন উত্তর প্রদেশ সরকারকে এ বিষয়ে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। ওই দলিত যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে যারা নির্মমভাবে মারপিট করেছিল তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছে কমিশন।
ঘটনাটি কানপুর দেহাত জেলার আকবরপুর এলাকার ।কয়েকদিন আগে আচমকাই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে চর্মকার সম্প্রদায়ের এক যুবককে ডেকে তাঁর জাত পরিচয় জানতে চায় বেশ কিছু পুলিশ। ওই যুবক নিজেকে দলিত সম্প্রদায়ের বলার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় গণপিটুনি। প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে চলে কিল, চড়, ঘুষি। কোন অপরাধে তাঁকে মারা হচ্ছে জানতে চাইলে হামলাবাজরা জানায় দলিত হওয়ার কারণেই গণপিটুনি দিয়ে সবক শেখানো হচ্ছে। আশেপাশের বহু মানুষ দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনা দেখলেও ওই দলিত যুবককে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসেনি। নির্বিচারে কিল, চড়, ঘুষি, লাথি খেয়ে প্রাণে না মারার জন্য আকুল আর্তি জানায় ওই দলিত যুবক। বেশ কিছুক্ষণ বাদে আধমরা অবস্থায় তাঁকে ফেলে চলে যায় হামলাকারীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
জাতীয় তফসিলি জাতি উপজাতি কমিশন বা এনসিএসসি উত্তর প্রদেশের মুখ্য সচিব, ডিজিপি এবং কানপুর দেহতের ডিএম এবং এসএসপিকে নোটিশ দিয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের তদন্ত চালিয়ে কমিশনও প্রথমদিকে অ্যাকশন গ্রহণ করার রিপোর্ট চেয়েছে।
এনসিএসসি চেয়ারম্যান বিজয় সাম্পলা বলেন, “ দলিত সম্প্রদায়ের লোকদের দেশের সংবিধান দ্বারা প্রদত্ত অধিকার নিশ্চিত করা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে আমার দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন “কমিশন যেসব কর্মকর্তাকে নোটিশ জারি করেছে, তারা যদি তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া না দেয় তবে কমিশন তাদের ব্যক্তিগতভাবে হাজির করার জন্য তাদের তলব করা হবে” ।
এদিকে, কানপুর দেহাত জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘনশ্যাম চৌরাসিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনার কথা জানতে পারার পরেই ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো দেখে এক আক্রমণকারীকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর দু’জনের খোঁজ চলছে।